ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সারাদেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে মুক্তি পাচ্ছে ১১টি ছবি।

ঈদুল ফিতরকে ঘিরে ১৬টি ছবি মুক্তির ঘোষণা দিয়েছিল প্রযোজক পরিচালকরা। প্রচারণা শুরু করেছিল ১৩টি ছবি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুক্তি পাচ্ছে ১১টি।

হল সংকটের কারণে মুক্তির মিছিল থেকে সরে গেছে এমডি ইকবাল পরিচালিত ‘ডেডবডি’ ও আহম্মেদ হুমায়ূন পরিচালিত জাজের ছবি ‘পটু’।

চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারের ঈদে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ছবি মুক্তি পাচ্ছে। জানা যায়, ২০০৫ সালের ঈদুল ফিতরে রেকর্ড ১৫টি এবং ঈদুল আযহায় রেকর্ড ১৬টি ছবি মুক্তি পেয়েছিল। অর্থাৎ এবার সর্বোচ্চ নয়, তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক ছবি মুক্তি পাচ্ছে। চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি চ্যানেল আই অনলাইনকে তথ্যটি নিশ্চিত করে।

এ বছর ঈদে মুক্তি পাচ্ছে হিমেল আশরাফ পরিচালিত মেগাস্টার শাকিব খানের ছবি ‘রাজকুমার’, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘ওমর’, মিশুক মণি পরিচালিত ‘দেয়ালের দেশ’, গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘কাজলরেখা’, কামরুজ্জামান রোমান পরিচালিত ‘লিপস্টিক’, ছটকু আহমেদের ‘আহারে জীবন’, কামরুজ্জামান রোমানের ‘মোনা: জ্বিন-২’, জসীম উদ্দিন জাকির পরিচালিত ‘মায়া: দ্য লাভ’, কাজী হায়াৎ ও রওশানা আরা নীপার যৌথ পরিচালনায় ‘গ্রিনকার্ড’, ফুয়াদ চৌধুরী পরিচালিত ‘মেঘনা কন্যা’ এবং জাহিদ হোসেন পরিচালিত ‘সোনার চর’।

জানা গেছে, সবগুলো ছবি সারাদেশের ২১০ টি সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে দেশের প্রায় দেড় শতাধিক বন্ধ সিনেমা হল খুলেছে।

এর মধ্যে ‘রাজকুমার’ ১২৫টি, ‘ওমর’ ২২টি, ‘দেয়ালের দেশ’ ১৪টি, ‘মায়া: দ্য লাভ’ ৯টি, ‘গ্রীণকার্ড’ ৫টি, ‘সোনার চর’ ৭টি, ‘কাজলরেখা’ ৯টি, ‘লিপস্টিক’ ৭টি, ‘আহারে জীবন’ ৪টি, ‘মেঘনা কন্যা’ ২টি এবং ‘মোনা: জ্বিন-২’ ৬টি সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে।

একসঙ্গে এতগুলো ছবি মুক্তির বিষয়টিকে আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত বলে মনে করেছেন লায়ন সিনেমাসের কর্ণধার মীর্জা আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, আমাদের হলে ১১টির মধ্যে ৯টি বাংলা ছবি চালাবো। এগুলো শিডিউল করতে গিয়ে আমার উপলব্ধি হলো, আমি কিছু প্রযোজক ভাইদের আত্মহত্যা করতে সাহায্য করলাম।

হল মালিকরা বলছেন, ঈদ ছাড়া সারা বছর তারা ভালো বাংলা ছবি পান না। প্রযোজক-পরিচালকরা শুধু ঈদে ভালো ছবিগুলো মুক্তি দিলে তাদের বিদেশে ছবির উপর পুরোপুরি নির্ভর হতে হবে অথবা ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে হবে।

সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান বলেন, জানুয়ারি থেকে মার্চও শেষ হলো কিন্তু কোনো ভালো বাংলা ছবি পাইনি যেটা দর্শক দেখেছে। এখন কিন্তু বাংলা ছবির প্রতি মানুষের আগ্রহ ও প্রত্যাশা বেড়েছে। সেই চাহিদা মিটাতে পারছি না। নির্মাতা এবং প্রযোজক তাদের বলছি, ভালো ছবি বানিয়ে ঈদ ছাড়া মুক্তি দিন।

সুত্র: চ্যানেল আই